বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

জেনে নিন আপনার মোবাইল ডিভাইসটি হ্যাক অথবা ট্র্যাকিং করা হয়েছে কিনা?



জেনে নিন আপনার মোবাইল ডিভাইসটি হ্যাক অথবা ট্র্যাকিং করা হয়েছে কিনা

প্রযুক্তি আমাদের দিয়েছে অবারিত যোগাযোগ সুবিধা। কিন্তু একই সাথে যুক্ত হয়েছে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ হওয়ার মত অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। জেনে নিন কীভাবে আপনার মোবাইল ডিভাইসটি হ্যাক অথবা ট্র্যাকিং এর শিকার হতে পারে, তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও সাবধান থাকা সম্ভব হবে
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা যদিও এসব অ্যাপস তৈরি করেছে টিনএজার এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্য, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এগুলোর অনেক অপব্যবহারও হয়ে যাচ্ছে। তবে এসব ঝুঁকি তখনই তৈরি হয়, যখন আপনার আইফোন বা এন্ড্রয়েড ডিভাইসটিতে ধরণের সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখা হয়। অতএব, আপনার অনুমতি বা কাছের কারো সহায়তা ছাড়া অথবা আপনার স্মার্ট ফোনটি সরাসরি এক্সেস করা ছাড়া ধরণের সফটওয়্যার ইন্সটল করা সম্ভব নয়
বাজারে এধরণের অনেক সফটওয়্যারই পাওয়া সম্ভব, যা দিয়ে কারো গতিবিধি তাঁর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রায় সব কিছুই মনিটরিং করা সম্ভব। এমন কিছু সফটওয়্যার নীচে তুলে ধরা হলোঃ
Myspyapp: এই টুলসটি দিয়ে সেলফোনের প্রায় সব কিছুই মনিটরিং করা সম্ভব। এটা অবশ্য পরিবার, সন্তানাদি এবং কর্মচারীদের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি ফোনের ইনকামিং, আউটগোয়িং কল থেকে শুরু করে এসএমএস, হোয়াটস অ্যাপ, স্কাইপি, ভাইবার, স্নেপচ্যাট সহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি ট্র্যাকিং করা সম্ভব। এমনকি জিপিএস ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যাক্তিটি কোথায় যাচ্ছে তাও মনিটরিং করা সম্ভব
Mspy: এটি হচ্ছে আরেকটি টুলস যা দিয়ে একটি ফোনের সব ধরনের মনিটরিং করা সম্ভব। এটি দিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, ওয়েবসাইট সার্ফিং থেকে শুরু করে কীবোর্ড একটিভিটি বা কি লগার, স্কাইপি ম্যাসেঞ্জার মেসেজ মনিটরিং করা সম্ভব
Flexispy: ফোন এবং যে কোনও ধরণের এন্ড্রয়েড মোবাইল ডিভাইস মনিটর করার জন্য এটি প্রসিদ্ধ। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ফোনকল হিয়ারিং বাগ বা স্পাই বাগও মনিটর করা সম্ভব। ধরনের বাগ হচ্ছে ছোট্ট ডিভাইস যা দিয়ে একটি ঘরের সব ধরনের সাউন্ড রেকর্ড করা সম্ভব। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই টুলসটি দিয়ে ওই ডিভাইসটিও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়
Spyera: এই সফটওয়্যারটি অন্যতম ডিভাইস ট্র্যাকিং সফটওয়্যার যা দিয়ে সব ধরনের স্মার্টফোনই মনিটর করা সম্ভব। এমনকি ইনকামিং কল সরাসরি শোনা এবং রেকর্ড করাও সম্ভব। ওই ডিভাইসটি দিয়ে কোনও ছবি তোলা হলে তাও এক্সেস করা সম্ভব
এই সবগুলো সার্ভিসই পেইড বা অনলাইনে ক্রয় করা যায়। এছাড়াও বেশ কিছু ফ্রি সার্ভিসও আছে যা দিয়ে কাউকে মনিটর করা বা তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখা খুব সহজেই সম্ভব হয়ে থাকে। তবে জেনে রাখা ভালো এই সার্ভিসগুলো নিজের পরিবার সন্তান ছাড়া অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা উন্নত দেশগুলোতে আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত। বাংলাদেশে সংক্রান্ত কোনও আইন আছে কিনা তা আমার জানা নাই। তবে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এই টুলসগুলোর অপব্যবহার অনলাইন হয়রানিও একই সাথে বেড়ে চলেছে। তাই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন সময়ের দাবী মাত্র। ( মো: সাইদুর রহমান )

কোন মন্তব্য নেই: