শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬

সোনালী ব্যাংকে কি ভাবে একাউন্ট খোলতে হয় দেখুন

ট্রেজারি চালান ফরম পূরন করার নিয়ম

Internet Banking Brack Bank

Brack Bank Account Opening Form Filup

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া কলেজে ছাত্র শিক্ষকের সাথে পুলিশের সংঘর্সের ঘটনায় এরি ধারা বাহিকতায় ছাত্র শিক্ষক, সাধারন জনগন ও স্থানিয় এমপি সহ, পুলিশের বৃথক বক্তব্য।

ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া কলেজে ছাত্র শিক্ষকের সাথে পুলিশের সংঘর্সের ঘটনায় এরি ধারা বাহিকতায় ছাত্র শিক্ষক, সাধারন জনগন ও স্থানিয় এমপি সহ, পুলিশের বৃথক বক্তব্য।
ধর্ম মন্ত্রীকে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে আমার বিশ্বাসের তেমন কোন গার্তি না থাকলেউ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যথেস্ট গার্তি রয়েছে, কারন একজন মন্ত্রী একজন এমপিকে সেইফ করার চেষ্টা করবেন এটাই সাভাবিক বেপার। তবে আমি মনে করি মুসলেম এমপির বিশেষ ভাবে লজ্জিত হওয়া উচিৎ কারন তার এলাকার সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে অন্য মন্ত্রীর ভূমিকার বিশেষ প্রয়োজন পরেছে।তাই ধর্ম মন্ত্রীকে স্বাগতম। তবে ধর্ম মন্ত্রী যেহেতু সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ছাত্র ও শিক্ষকদের কে আশ্বাস দিয়েছেন ফুলবাড়ীয়া কলেজ কে সরকারী করনের জন্যে, সেহেতু ধর্ম মন্ত্রীর নিকট ও সাধারন জনগনের নিকট কিছু বিষয় পরিস্কার ভাবে তুলে ধরতে চাই যে, বর্তমানে ফুলবাড়ীয়া কলেজের কোন প্রিন্সিপাল নেই কিছুদিন আগ পর্যন্ত জিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি হলেন মুসলেম এমপির দূরবর্তী ভায়রা নাছির উদ্দিন।
নাছির উদ্দিন দায়িত্বে নেই কেন? কারন নাছির উদ্দিন কলেজ ফান্ড থেকে আনুমানিক 22,00,000/- টাকা কথায় বাইশ লক্ষ্য টাকা আত্বসাধ করে পালিয়েছেন। তিনি ক্ষমতাসিন ধলের আত্বিয় বলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ নেয়নি। বরং যিনি মামলা করতে যাবেন তাকেই হয়রানির শিকার হতে হবে।তবে আপনি (ধর্ম মন্ত্রী) ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করলে অবশ্যই জানতে পারবেন যে, ছাত্ররা প্রিন্সিপাল এর অপকর্মের বিরুদ্ধে আনন্দলন করেছে, কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি কারন বেআইনি কাজের সমাধান আইনের মাধ্যেমেই করতে হয়।মুসলেম এমপির কারনেই নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেনি কলেজ কমিটি ও ছাত্ররা ফলে 22,00,000/- টাকা উদ্ধার করার ক্ষেত্রে আইনি কোন সহযোগিতা পাউয়া যাচ্ছে না।
মোসলেম এমপির বক্তব্য কি? ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়ার আলোচিত ঘটনার দায় এড়াতে চাচ্ছেন স্থানিয় সংসদ সদস্য মুসলেম এমপি।মুসলেম এমপি তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে, সরকার সারা দেশে 2500 কলেজ কে সরকারী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই সরকার মুসলেম এমপির কাছে কলেজের তালিকা চেয়েছে এবং সে 3টি কলেজের নাম দিয়েছে সরকারের কাছে। তার মধ্যে সরকার নিজ ইচ্ছায় ফজিলাতুননেসা কে বাছাই করেছেন সরকারী করনের জন্যে। তবে এতে ফজিলাতুননেসা সরকারী হওয়া আর ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজ সরকারী না হওয়ার ক্ষেত্রে মুসলেম উদ্দিনের কোন হাত নেই।প্রশ্ন করা হয়েছিল মুসলেম উদ্দিন কে যে, আপনি কি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলেন? মুসলেম উদ্দিন বলেন যে, আমি এখনি যাচ্ছিলাম এর মধ্যে সংবাদ কর্মিরা বললো যে ‘স্যার আপনার একটি সাক্ষাত কার আছে’ তাই গটনা স্থলে এখনো যেতে পারিনি।
সাধারন জনগনের বক্তব্য কি? সাধারন জনগন বলছে যে, ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজ সরকারী করনের ক্ষেত্রে উপযোগী, কারন এ প্রতিষ্ঠানে ফজিলাতুননেছা কলেজের চেয়ে ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজে ব্যাপক হারে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ফজিলাতুননেছা কলেজ ও ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজের মধ্যে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ও পড়া লেখার মান ও শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের গুনগত মানে ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজই এগিয়ে আছে। তবে ফজিলাতুননেছা কলেজটি সরকারী করার ক্ষেত্রে স্থানিয় এমপির ভূমিকা আছে বলে মনে করেন সাধারন জনগন । কারন ফজিলাতুননেছা কলেজের নাম করন করা হয়েছিলো প্রথমে মুসলেম এমপির নামে পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করা হয় প্রধান মন্ত্রীর মায়ের নামে। সাধারন জনগন মনে করছেন মুসলেম এমপির বিশেষ কৌশলি পদক্ষেপ আর প্রধান মন্ত্রীনর মায়ের নামে নামকরনই ফজিলাতুননেছা কলেজটি সরকারী হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
কি ঘটেছিলো সেদিন? ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া কলেজ সরকারী করনের দাবিতে ছাত্র শিক্ষক সম্মিলিত ভাবে সান্তি পূর্ণ আনন্দলনে নেমে ছিলো। আর এ আনন্দলন চলতে থাকে প্রায় 42 দিন। এ আনন্দলনের প্রতি সাধারন মানুষদেরো সমর্র্থন ছিলো।তবে 42তম দিনে হঠাৎ করেই বিনা মামলায় বিনা অনুমুতিতে পুলিশ কলেজে হাজির হয় বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে। ছাত্র শিক্ষকেরা কলেজের বিতরেই অবস্থান করছিলো সেদিন। পুলিশ কিছুখন অপেক্ষা করে কলেজ কেম্পাসের বিতরে প্রবেশ করে এবং ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকদের উপর অমানুষিক লাঠি চার্জ করে।এতে ছাত্র ছাত্রীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে দ্রুত বের হয়ে রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে থাকে আর তখনই সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়িরা বুঝতে পারে যে কলেজের বিতরে ঢুকে পুলিশ অসাভাবিক কিছু করছে। এতে সাধারন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দুকান পাঠ বন্ধ করে রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে শুরু করে আরকিছু পুলিশ রাস্তায় এসে যাকে পায় তাকেই লাঠি চার্জ করতে শুরু করে। এতে আফছার আলী নামক একজন বয়স্ক লোকের গায়ে লাঠির আগাত ব্যপক ভাবে লাগায় সে পথেই মারা যান। আর এদিক দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের বিতরে কিছু শিক্ষককে আটক করে ফেলে পুলিশ এবং তাদের কে ব্যপক হারে লাঠি দিয়ে বেদরক আগাত করার কারনে ঙ্গিয়ান হারিয়ে ফেলেন একজন শিক্ষক। তাকে হাঁসপাতালে নেওয়ার জন্যে এম্বুলেন্স আনা হলে তাতে পুলিশ বাধা দেয় ছাত্ররা তার প্রান বাচানোর স্বার্থে একটি ভ্যান গাড়ী দিয়ে ময়মনসিংহ হাঁসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার কিছু খন পর জানা যায় যে সেই শিক্ষক মৃত্যুবরন করেছে। এতে ছাত্রদের মাঝে আরো উওেজনা ছরিয়ে পরে। আর এ উওেজনা থামাতেই পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ ভাবে গুলি ও টিয়ারসেল ছুরে ছাত্রদের উপর, আর ছাত্ররা ছুরে ইট পাটকেল। তবে ইট পাটকেলে কোন পুলিশ সদস্যই আগাত প্রাপ্ত হয়নি। 25/30 জন ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকেরাই আগাত প্রাপ্ত হয়েছিলো পুলিশের লাঠি চার্জে।
সাধারন মানুষেরা সত্যিই সাধারন, কারন তারা কোন আইন জানে না আইন কানোনও বুঝেনা।আর পুলিশ সব আইনই জানে তাদেরকে কোন কিছু শিক্ষিযে পরিয়ে দিতে হয় না কোন উকিলকেউ ফিস দিতে হয় না তাদের মামলা করার ক্ষেত্রে কোন বাধাও নেই। কিন্তু সাধারন কোন মানুষ মামলা করতে চাইলে পুলিশ যদি মামলা না নেয় তাহলে সাধারন মানুষের আর কিছু করারর থাকে না।
পুলিশ এর বক্তব্য কি? পুলিশ কি কারনে বা কোন অভিযুগের ভিক্তিতে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রভেশ করেছিলো বা কার নির্দেশে প্রবেশ করেছিলো তা পুলিশই ভালো বলতে পারবে। কারন সাধারন জনগন বলছে স্থানিয় এমপিই পুলিশ কে উসকিয়ে দিয়েছে আর পুলিশ বলছে তাদের কে এমপি কোন নির্দেশ দেয়নি। যদিও একটি বারের জন্যে হলেও স্থানিয় এমপি পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসের বিতরে প্রবেশ করার বিষয়ে ভালো মন্দ কোন মতামত ব্যক্ত করেনি।অথচ অন্যান্য মন্ত্রীদের কাছে বিষয়টি ঘৃনীত।পথচারীর মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ সাভাবিক ভাবেই নিয়েছে বলছে তার মৃত্যু অন্য কারনে হয়েছে। আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু হয়েছে হাঁসপাতালে পুলিশ বলছে তিনি কয়েকদিন আগে থেকেই হাঁসপাতালে ভর্তি। আর হাঁসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে না তিনি ঘটনার দিন বেলা 3 টার দিকে এসেছেন হাঁসপাতালে ইসিজি প্রস্তুত করার সময়ই তার মৃত্যু ঘটে। পুলিশ বলছে পুষ্টমেটামে শরীলে কোন দাগ পাওয়া যায়নি।
আর সাধারন মানুষেরা বলছে তার কোন পুষ্টমেটামি হয়নি কারন তার পরিবারের লোকেরা আর কাটাছিরা করতে দেয়নি কারন কি হবে আর কাটা ছিরা করে?।
লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুন
মন্তব্য করুন

Islami Bank Saving Account form Filup