বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৫



এ রাজনীতির ভিক্তি কি? আমার জানা নেই, ভোটার বিহীন প্রার্থী, প্রতি দন্ধি বিহীন খেলোয়ার , খালি মাঠে দৌড়ে ফাস্ট হওয়া প্রথম শ্রেনীর অফিসার। এ কেমন রাজণীতি নির্বাচন, সরকার, নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী এবং রাজণৈতিক নেতা কর্মীরা , সবাই যেন এক সুতোয় ঘাথা। কেন যানি মনে হচ্ছে সকলেই একই উদ্দেষের পিছনে দৌড়াচ্ছে এবং এ উদ্দেষ্যই আবার সকলকে এক ইসারাতে চালাচ্ছে। নয়তবা একজন প্রার্থী  কি করে সু-স্থ মস্তিস্কে বিশেষ উদ্দেষ্য মূলক ভাবমূর্তি প্রকাশিত করে নিজেকে জয়ী প্রার্থী বলে দাবী করছে, তাও আবার নির্বাচনের দিন প্রথম বেলাতেই। এতো আনন্দের সহিত নয়, কোন স্বপ্নও নয় এ যেন মনে হয় পূর্বে পরিকল্পীত নীল নকসার আভাস দিয়ে গেল এ প্রার্থী। বৈশাখী মেলাতে কলংকিত ঘটনা ঘটার পর ভেবেছিলাম পুলিশ নামক এই বাহীনিটা সত্যিই অসহায় একটি দল এদের বুদ্ধি, শক্তি সাহস ইত্যাদি অপরাধীদের চেয়ে অনেক কম। এ সত্যিটা আবার সবার সামনে প্রমান করলো কারন নির্বাচন হবে এ বিষয়টি নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই আলোচিত হচ্ছে। তাহলে এ সুযোগে পুলিশের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ইত্যাদি ভালো থাকার কথাছিল কিন্তু দেখাগেল না অপরাধীরা নির্বাচনের দিন সকাল বেলাতেই হামলা মারামারি ভেলট বাক্স চুরি ইত্যাদি মূলক ঘটনা ঘটানো পুলিশের সামনেই সম্ভব হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫



পহেলা বৈশাখ প্রসঙ্গে।

বাংলাদেশকে আরো একবার বিশ্বের কাছে লজ্ঝিত করে দিলো, কিছু বখাটে কলংঙ্কিত যোবকেরা।। লজ্জিত হওয়ার মতো অনেক ঘটনাইতো সারা বছরই ঘটে, তবে এবার একটু প্রকাশ্বেই ঘটলো। এ প্রকাশ্যে ঘটা ঘটনাটা আমাদের দেশ ও জাতিকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যে কিছু একটা ইঙ্গিত করছে। তবে এর দ্বায় কি এরাতে পারবে কেউ? পহেলা বৈশাক এটা কোন পরিকল্পিত দিবস নয়, এটা বাৎসরিক নিয়মিত সাংস্কৃতিকমূলক  শিখানবিক দিবস। তবে টিএসসি মোড়ে পহেলা বৈশাখ উপলখ্যে পূরো আনুষ্ঠানিকতাটাই ছিল পরিকল্পিত এবং সেখানে সাধারন মানুষকে নিরাপত্বা দেওয়ার লখ্যে কি পরিমান নিরাপত্বা কর্মী  নিয়োজিত থাকবে, কিভাবে অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে সমস্ত বিষয়াদি ছিল সুষ্ট ও সুস্পষ্ট পরিকল্পনার আওতায়। তবে এখানে সরকারের যতই ধরা বান্ধা নিয়ম নীতি বা সুষ্ঠ পরিকল্পনা থাকোক না কেন? এ পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই অপরাধ করা সহজ বা সম্ভব হয়েছে অপরাধীদের। এটাই কি পুলিশের বা নিরাপত্বা কর্মীদের দায়িত্বে চরম ব্যর্থতা বা অবহেলার বিসয়টা প্রমান করে না?  

এবার সমাবেশের পর্ব।

সমাবেশ সমাবেশ  আর সমাবেশ। সমাবেশ আমাদের লানচনা ছারা আর কি দিতে পেরেছে? সমাবেশ করলেই সেটা হয়ে যায় রাজনীতির পখ বিপখের একটা অংশ। সমাবেশ কার জন্যে? কাকে উদ্দেষ্য করে? কাকে দেখানো বা সুনানোর জন্যে? আমাকে বলোন মেজর সাহেব। এখানে সমাবেশ মানে প্রতিবাদ, সমাবেশ মানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেখানো, এছারা আর কিছুই না 2-4 টা কথা বলা আর 2-4 টা লেখা লেখী করা আর কিছুই না এতো কিছু করে সরকারের বা আইনি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি ফেরানো যে, আমরা প্রতিবাদ করছি আপনারা এ্যাকশান নিন (এইতো চাচ্ছেন)। সারা বিশ্ব জানে এ ঘটনাটা, আর সারা বিশ্বই বলছে এটা অপরাধ ও খমার অযোগ্য অপরাদ করেছে ওরা। তাহলে এই ডিজিটাল সৎ সরকারকে কেন সমাবেশ করে জানিয়ে দিতে হবে এরা অপরাধ করেছে এদের বিচার চাই, এই অপরাধীদের গ্রেফতার করোন। এত ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে লাগাতার হরতাল বা others কর্মসূচির কথা উঠে আসবে, এইতো চাচ্ছেন? জনগনের সরকারকেতো নিজ উদ্দোগী হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, যেহেতু সেও একজন নারী। আপনি সমাবেশ করুন তাতে আমার কোন আপত্বি নেই তবে আমার প্রশ্ন হলো এ সমাবেশের উওর কি সরকার দিবে ? প্রতোখ্য ঘটনা গুলোকে এখন তদন্ত করতে হবে, সিসি টিভিতে সুস্পষ্ট অপরাধের বর্ণনা ও দৃষ্য ফুটে উঠেছে এবং কি অপরাধিদের চেহেরাও। এতোকিছুর পর তদন্তের প্রয়োজন হয় কেন? আর কি তদন্ত করার আছে আমাকে বলুন? ভর দুঃখ হয় সরকারের জন্য। যদি সরকার তদন্তের কথা না বলে বলতো সবগুলি অপরাধীকে ধরার জন্য মাঠে নামা হয়েছে পুলিশকে নির্দেষ দেওয়া হযেছে তাহলে সরকারের প্রতি সন্তুষ্ঠতা আমাদের বিৃদ্ধি পেত। তদন্তের কথা বলা মানেইতো আলোচনার পর্ব শেষ হয়ে গেলেই অপরাধীদের কে নীরঅপরাধ বানানো সহ মুক্তি দেওয়া সম্ভব। এমন অনেক ঘটনাই আছে যে এরকমটা ঘটেছে। তাই সমাবেশকে আমি এখন আর বিশ্বাস করি না।

সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫

Love




ভালোবাসা এখন কি, অনেক  হিসাবি?
হিসাবি, স্বার্থপরতা, প্রতারণা- (ভালোবাসা) এখন এমন নানা প্রশ্নে জর্জরিত। আর এ প্রশ্নগুলো বিশেষ কোনো শ্রেণী, লিঙ্গ এবং বয়সের দিকে ছুড়ে দিই আমরা। অথচ উওর প্রজম্মের দায় যে এ খেত্রে অনেক বেশি, তা আমরা ভিবেকে আনি কম। এ বিষয়টি ভাবা এখন খুব জরুরি হয়ে উঠেছে আমাদের পরবর্তী প্রজম্মের স্বার্থে।

ভালোবাসা কারে কয়?
ভালোবাসা কারে কয়? প্রশ্নটি আদি অনন্ত। আসলে অনুভূতির নির্দিষ্ট কোন সংঙ্গা নেই। ভালবাসার খেত্রে একেক মানুষের হিসাব একেক রকম। ভালবেসে রাজ্য ছেরে দেওয়া, জীবন বিসর্জন দেওয়ার অনেক ঘটনা যেমন স্থান করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। আবার ভালবাসার নামে নির্যাতন হিংস্রতার নির্মম ঘটনাও আমাদের সামনে কম নয় : বরং ভালবাসার নামে প্রতারণা ও নির্যাতনের বিষয়গুলি এখন চোখে পরে বেশি। ভালবাসা সম্পর্কে এমন মন্তব্য নানা বয়সের বেশ কিছু নারী ও পুরুষের। ঠিক জরিপ বলা যাবে না, স্বার্থহীন ভালবাসা বলতে এখন কিছু নেই। দেনা পাওনার হিসাবটাই এখন মূখ্য। তা না হলে নারীর উপর এত নির্যাতন কেন ঘটবে? নির্যাতনের মাত্রাই বা কেন বৃদ্ধি পাবে? সর্বস্তরের সহিংসতাই কেন বাড়বে? পুরুষও কি নারীর দ্ধারা নির্যাতিত হচ্ছে না? পুজিবাদের ক্রমবিকাশে সবার মধ্যে চাই চাই ভাব, আর তা থেকেই শুরু হয় অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতাই হারিয়ে দিচ্ছে সুন্দর্যতাকে। এবং এক প্রজম্ম থেকে অন্য প্রজম্মকে প্রভাবিত করছে। এখন একটু যৌতুকের জন্য ভালবাসার বউটিকে হত্যা করতে ভিবেকে বাজে না।

ভালবাসার খেত্রে দায়িত্ব বড় শর্ত। মানুষের মধ্যে মায়া, মমতা ও আন্তরিকতা ক্রমে উঠে যাচ্ছে। মানুষ এখন বস্তুবাদী হয়ে উঠেছে। চাহিদাও বাড়ছে ফলে মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতাও বাড়ছে। মনের টান স্নেহ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, দায়িত্ব- ভালবাসার খেত্রে এ বিষয়গুলো কমে গেছে। ফলে ভালবাসার খেত্রে আকর্ষন, শ্রদ্ধা ও পবিত্রতা কমে যাচ্ছে। কথাগুলো এখনকার প্রজম্মের কাছে ব্যাকডেটেড মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলো চিরন্তন ও সত্য। আমাদের দেশেও অগোচরে লিভ টুগেদার বাড়ছে। মানুষ ভালবাসা ও ভিবেকের প্রতি প্রতারণা করতে করতে আজ ভুলেই যাচ্ছে যে সে একজন মানুষ। আমি বলছিনা যে মানুষের মধ্যে ভালবাসা নেই : কিন্তু আগের মতো নেই এটা খুবই সত্যি।

নর নারীর সম্পর্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস, নিষ্ঠা আর শ্রদ্ধা। সামাজিক কিংবা আর্থিক কোন উচ্চাভিলাষ বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সত্যিকারের কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠে না। প্রেম বা ভালবাসার খেত্রে শর্তহীন অনুভূতিই মূখ্য। কিন্তু এখন নানা চাহিদা ভালবাসার খেত্রে অলিখিত শর্ত হয়ে উঠেছে। ফলে অনেক সময় ভালবাসা খুব হিসাবি মনে হয়। নারী স্বাধীনতার উম্মেষের কারনে সহনশিলতার বিষয়টি একটু যেন কমে এসেছে। পারস্পরিক অনুভূতির চেয়ে যদি নর নারীর ইগু বড় হয়ে দেখা দেয় তবে বিয়ের পরও সে সম্পর্ক ভঙ্গুর হয়ে উঠতে পারে। যে কোন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার খেত্রে পারস্পরিক আস্থা ও নিষ্ঠার ব্যাপারটি অত্যান্ত জরুরি।

প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির অভাবে।
সাধারনত দেখা যায়, যে ধরনের বিয়ে হোক না কেন, বিয়ের পরে অনেকেরই ভালোবাসা কমে যায়। এটা প্রেমের বিয়েতে বেশি পরিলখিত হয়। এর কয়েকটি কারন রয়েছে। যেমন বিয়ের আগে যে স্বপ্ন দেখে, বিয়ের পরে সে স্বপ্ন পুরোপুরি পূরণ হয় না। আবার অপরিপক্ক বয়সে বিয়ে হলে তাদের আবেগটাও অপরিপক্ক থাকে। আবেগ যদি অপরিপক্ক থাকে তাহলে বাস্তবতাটাও  তাদের মধ্যে কমে যায়, জৈবিক কিছু চাহিদা থাকে এটা পূরণ করতে কেউ কেউ ব্যার্থ হয়। পরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সিৃষ্টি হয়। ভূলবোঝাবুঝি, মান অভিমান, রাগ অনুরাগ,বিশ্বাস অবিশ্বাস,আত্ববিশ্বাস,একে অপরকে খমা না করার মানুসিকতা ইত্যাদি এসকল কিছুই একটি নিস্পাপ ভালোবাসাকে ধ্বংস করার মূল উপাদান। আর এসকল উপাদান গুলোর কারনেই ভালোবাসা কমে যায়, আর অনেক খেত্রেই, ভালোবাসা যদি কমে যায় তাহলে নির্যাতনের পরিমানও বেড়ে যায়। আর তখনই আমরা 2য় আর 1টা সম্পর্কে জরিয়ে যাই। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির যখন সমন্বয় না ঘটে তখন ভালোবাসাটা কমে যায়। সফল ভালোবাসা যেমন জীবনের সব পূর্ণতা  এনে দেয় তেমনি বিফল ভালোবাসা জীবনের সব কিছু কেরে নেয় এক সময় আবার পুরোনো করে দেয়। অবশেষে ফলাফল গিয়ে দাড়ায় এরকম যে, প্রথম দেখায় যে ভালোবাসা, বিয়ের পরে তার আকাশ পাতাল পার্থক্য পরিলখ্খিত হয়।

আমার লেখায় কোন ভুল এবং কষ্ট পেয়ে থাকলে খমা করে দিবেন। কারো ভালোবাসাই হরণ করতে চাই না। সকলের ভালোবাসাই সকলের মঙ্গল বয়ে আনোক, এই কামনাই করি।