মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫



পহেলা বৈশাখ প্রসঙ্গে।

বাংলাদেশকে আরো একবার বিশ্বের কাছে লজ্ঝিত করে দিলো, কিছু বখাটে কলংঙ্কিত যোবকেরা।। লজ্জিত হওয়ার মতো অনেক ঘটনাইতো সারা বছরই ঘটে, তবে এবার একটু প্রকাশ্বেই ঘটলো। এ প্রকাশ্যে ঘটা ঘটনাটা আমাদের দেশ ও জাতিকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যে কিছু একটা ইঙ্গিত করছে। তবে এর দ্বায় কি এরাতে পারবে কেউ? পহেলা বৈশাক এটা কোন পরিকল্পিত দিবস নয়, এটা বাৎসরিক নিয়মিত সাংস্কৃতিকমূলক  শিখানবিক দিবস। তবে টিএসসি মোড়ে পহেলা বৈশাখ উপলখ্যে পূরো আনুষ্ঠানিকতাটাই ছিল পরিকল্পিত এবং সেখানে সাধারন মানুষকে নিরাপত্বা দেওয়ার লখ্যে কি পরিমান নিরাপত্বা কর্মী  নিয়োজিত থাকবে, কিভাবে অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে সমস্ত বিষয়াদি ছিল সুষ্ট ও সুস্পষ্ট পরিকল্পনার আওতায়। তবে এখানে সরকারের যতই ধরা বান্ধা নিয়ম নীতি বা সুষ্ঠ পরিকল্পনা থাকোক না কেন? এ পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই অপরাধ করা সহজ বা সম্ভব হয়েছে অপরাধীদের। এটাই কি পুলিশের বা নিরাপত্বা কর্মীদের দায়িত্বে চরম ব্যর্থতা বা অবহেলার বিসয়টা প্রমান করে না?  

এবার সমাবেশের পর্ব।

সমাবেশ সমাবেশ  আর সমাবেশ। সমাবেশ আমাদের লানচনা ছারা আর কি দিতে পেরেছে? সমাবেশ করলেই সেটা হয়ে যায় রাজনীতির পখ বিপখের একটা অংশ। সমাবেশ কার জন্যে? কাকে উদ্দেষ্য করে? কাকে দেখানো বা সুনানোর জন্যে? আমাকে বলোন মেজর সাহেব। এখানে সমাবেশ মানে প্রতিবাদ, সমাবেশ মানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেখানো, এছারা আর কিছুই না 2-4 টা কথা বলা আর 2-4 টা লেখা লেখী করা আর কিছুই না এতো কিছু করে সরকারের বা আইনি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি ফেরানো যে, আমরা প্রতিবাদ করছি আপনারা এ্যাকশান নিন (এইতো চাচ্ছেন)। সারা বিশ্ব জানে এ ঘটনাটা, আর সারা বিশ্বই বলছে এটা অপরাধ ও খমার অযোগ্য অপরাদ করেছে ওরা। তাহলে এই ডিজিটাল সৎ সরকারকে কেন সমাবেশ করে জানিয়ে দিতে হবে এরা অপরাধ করেছে এদের বিচার চাই, এই অপরাধীদের গ্রেফতার করোন। এত ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে লাগাতার হরতাল বা others কর্মসূচির কথা উঠে আসবে, এইতো চাচ্ছেন? জনগনের সরকারকেতো নিজ উদ্দোগী হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, যেহেতু সেও একজন নারী। আপনি সমাবেশ করুন তাতে আমার কোন আপত্বি নেই তবে আমার প্রশ্ন হলো এ সমাবেশের উওর কি সরকার দিবে ? প্রতোখ্য ঘটনা গুলোকে এখন তদন্ত করতে হবে, সিসি টিভিতে সুস্পষ্ট অপরাধের বর্ণনা ও দৃষ্য ফুটে উঠেছে এবং কি অপরাধিদের চেহেরাও। এতোকিছুর পর তদন্তের প্রয়োজন হয় কেন? আর কি তদন্ত করার আছে আমাকে বলুন? ভর দুঃখ হয় সরকারের জন্য। যদি সরকার তদন্তের কথা না বলে বলতো সবগুলি অপরাধীকে ধরার জন্য মাঠে নামা হয়েছে পুলিশকে নির্দেষ দেওয়া হযেছে তাহলে সরকারের প্রতি সন্তুষ্ঠতা আমাদের বিৃদ্ধি পেত। তদন্তের কথা বলা মানেইতো আলোচনার পর্ব শেষ হয়ে গেলেই অপরাধীদের কে নীরঅপরাধ বানানো সহ মুক্তি দেওয়া সম্ভব। এমন অনেক ঘটনাই আছে যে এরকমটা ঘটেছে। তাই সমাবেশকে আমি এখন আর বিশ্বাস করি না।

কোন মন্তব্য নেই: