সোমবার, ১৫ জুন, ২০১৫

সাইবার ক্রাইম এর একটি বাস্তব ও সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখাটি প্রকাশ করা হলো:



সাইবার ক্রাইম এর একটি বাস্তব ও সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখাটি প্রকাশ করা হলো: আমরা অনেকেই সাইবার ক্রাইম করি, এবং অনেকেই করতে চাই, বা অনেকেই শিখতে চাই। আমরা সবাই জানি সাইবার ক্রাইম একটি অপরাধ জনিত অনৈতিক কাজ এবং এটি যুক্তি সঙ্গত বা আইন সঙ্গত না। আজকে আমি যে বাস্তব গল্পটি বলবো সেটিতে বলা হয়েছে সাইবার ক্রাইম মানুষকে কতটা খতি করতে পারে।

কলকাতা একটি প্রাইভেট কলেজে অনেক ছাত্র ছাত্রীরা লেখা পড়া করতো হঠাৎ করে সে কলেজে একটি মেয়ে ভর্তি হলো 1স্ট ইয়ারে এবং আরেকটি নতুন শিখক চাকরীতে জয়েন করলো। শিখকটি ছিলো বিবাহিত আর নতুন মেয়েটি ছিল অবিবাহিত। সেই মেয়েটিকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় সেই কলেজেরই আরেকটি ছেলে। ছেলেটি ছিল সহজ সরল এবং ভালো মেধাবি। কিন্তু ছেলেটি এতটাই সহজ সরল ছিল যে মেয়েটিকে তার মনের কথা জানাবার মতো সাহসিকতাই তার ছিল না। ছেলেটি অনেক চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারছে না। বন্দুদের প্ররোচনায় এবং তাদের সহযোগিতায় একদিন ঠিক করলো সেদিন মেয়েটিকে একটি ফুল দিযে তার ভালোবাসার কথা বলে দিবে, কিন্তু যখন ফুল দিয়ে কোন ভাবে তার মনের কথাটা বললো, তখনই মেয়েটা ফুল ছিরে ওকে অনেক অপমান করলো। এই বিষয়টা সেই নতুন শিখক দেখতে পেলো এবং আরো লখ্য করে দেখলো ছেলেটি একপর্যায়ে পড়ালেখা খাওযা দাওযা ছেড়ে দিলো তখন শিখক ছেলেটিকে অনেক সুন্দর করে অনেক কিছু বুঝালো। যাই হোক ছেলেটি মন খারাপ করে বাসায় বসে আছে বসার টেভিলের পাশেই ছিল লেপটপ ফেইসবুকে ডুকে বন্দুদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফেইসবুকে গুড়াগুড়ি করতেছে হঠাৎ সেই মেযেটিকে খোজে পেল। মেয়েটির প্রোফাইল এর জাবতীয় সব কিছু গাটাগাটি করে দেখলো মেয়েটি অপরিচিত একটি ছেলের পেজে লাইক,পোষ্ট,কমেন্ট, স্টেটাজ ইত্যাদি করে থাকে শুধু ওই একজনের আইডিতেই লাইক কমেন্ট করে থাকে। তখন ছেলেটির আগ্রহ জাগলো এই ছেলেটি কে? এর সাথে মেয়েটির কোন সম্পর্ক আছে কিনা? অনেক প্রশ্নই তাকে উত্তেজিত করে তুলেছে তখন সে এসব প্রশ্নের উওর জানার জন্যে 2 টি সফটয়্যার এর সহযোগিতা নিয়ে মেয়েটির পছন্দের একটি গানের সাথে এড করে মেয়েটির লেপটপে পাঠিয়ে দিলো মেয়েটি গান শুনে তার ভালো লাগলো তাই সে পাঠানো সফটয়্যারটি ইনস্টল করেফেলল এতে সেই সফটয়্যারটি অটোমেটিক ভাবেই লেপটপের ক্যামেরাটি সক্রিয় করে তুলবে। এবং কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও সফটয়্যারটি ক্যামেরা সকরিয় করে ভিডিও করা শুরু করবে এবং ভিডিও রেকর্ড করে ছেলেটির লেপটপে পাঠিয়ে দিলো। কিন্তু হঠাৎ করে দেখলো মেয়েটির বাসায় কে যেন এসেছে দরজা খুলে দেখলো সেই শিখক। এ দিকে ছেলেটি লেপটপে সমস্ত ভিডিও গুলো দেখতে পাচ্ছে। দেখলো শিখকটি মেয়েটির রুমে ঢুকে তার বিছানায় বসলো এবং মেয়েটিও শিখকটির সাথে রাজি হয়ে অবৈদ সম্পর্কের কাজ করলো আর ছেলেটি ভিডিওতে সব কিছু দেখে রাগে,খোবে, দুঃখে রেকর্ড করা ভিডিও গুলি পাবলিস্ট করে দিলো। কলেজের প্রিন্সিপাল এবং সকলেই ভিডিওটি দেখলো এবং শিখক ও ছাত্রীকে বহিস্কার করা হলো। ছাত্রীটি কোনভাবে বুঝতে পারলো এ কাজটি কে করেছে তখন সেই রাতেই ওই ছেলেটিকে ফোন করে লেপটপে বসতে বললো এবং বলল আমি জানি এ কাজটি তুমি করেছ এবার তুমি এর শেষটাও দেখেনাও । তখন ছেলেটি ধেখলো মেয়েটি গলায় ওরনা দিয়ে ফাসিতে ঝুলছে কিন্তু কি আর করার ভিডিওতে সব কিছু দেখা গেলেও ওর ফিরানোর কোন খমতা নেই। তখন ছেলেটি অনেক কান্না কাটি লাফালাফি করেও কোন লাভ হলো না। ছেলেটি মেয়েটির বন্ধুদের ফোন করছে কিন্তু ব্যস্ততার কারনে কেউ ফোন ধরছে না। তখন পরের দিন সকালে পুলিশ এসে লাশ বের করে নিয়ে গেলো ময়না তদন্তের জন্যে। ভিডিও ফোটেসটাও উদ্দার করলো এবং শিখক কেউ পুলিশ গ্রেফতার করলো। আর সেই ছেলেটি পুলিশকে এসে তার সমস্ত ঘটনা খোলে বললো। তার পর আর কি আইনগত ভাবে যার যে সাস্তি হওয়ার কথা তাই হলো।   

কোন মন্তব্য নেই: