সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫

শেয়ার বাজার



যেকোন কোম্পানির মৌল ভিত্তি বিশ্লেষণের প্রাথমিক ধারনাঃ
মার্কেট ইনডেক্স বাড়ুক বা পড়ুক, শেয়ার কেনা-বেচার সিদ্ধান্ত তো সবসময়ই নিতে হয়। সমস্যা আসলে দুদিকেই! কোনটা কিনব আর কোনটা বেচব, তা নিয়ে চিন্তায় আমরা অনেকেই হিমশিম খাই। এখন নিশ্চই বুঝতে পারছেন, আজ কী নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
কেনা-বেচার সিদ্ধান্ত নেয়া আসলে খুব সহজ ! এই দেখুনঃ
যুক্তিসঙ্গত মুল্যের চেয়ে মার্কেট প্রাইস বেশি = বেচুন
যুক্তিসঙ্গত মুল্যের চেয়ে মার্কেট প্রাইস কম = কিনুন


আসুন এবার জেনে নিই, যুক্তিসঙ্গত মুল্য বুঝবেন কীভাবে
১ম ধাপ – PE (Price Earning) Ratio: সংশ্লিষ্ট সেক্টর এর অন্য কোম্পানিগুলোর সাথে আপনার টার্গেট কোম্পানির PE Ratio- তুলনা করুন। সাধারণত PE Ratio যত কম হয় তত ভাল। এবার দেখুন এই কোম্পানির PE Ratio এবং মার্কেট প্রাইস-এর সাথে এই সেক্টরের বাকি কোম্পানিগুলোর PE Ratio মার্কেট প্রাইস এর তুলনামূলক চিত্র। বেসিক একটা আইডিয়া পাবেন, যে আপনার কোম্পানির মার্কেট প্রাইস কত হওয়া উচিত
দাঁড়ান! এখনি কেনাবেচার সময় হয়নি। আরও হিসেব বাকী আছে!
২য় ধাপ – EPS (Earnings per Share): কোম্পানিটির বিগত বছরগুলোতে কেমন লাভ-লোকসান করেছে তা তুলনা করে দেখুন যে এটি ভালর দিকে যাচ্ছে, নাকি খারাপের দিকে। এছাড়াও বর্তমান EPS-এর সাথে মার্কেট প্রাইস তুলনা করে বিচার করুন যে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।
৩য় ধাপ – NAV (Net Asset Value): শেয়ারপ্রতি Net Asset Value দিয়ে বুঝতে পারবেন আপনার বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ। মার্কেট প্রাইস থেকে Net Asset Value কম হলে ঝুঁকি বেশি। আবার মার্কেট প্রাইস থেকে Net Asset Value বেশি হলে ঝুঁকি কম
সর্বশেষ ধাপ: PE Ratio, EPS এবং NAV এই ৩টার বিচারে আপনি বুঝে যাবেন যে একটি শেয়ারের যুক্তিসঙ্গত মুল্য কত হওয়া উচিত। এই কাজে আপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার সেক্টর তুলনা করুন এবং আপনার হিসেবের সাথে অতীত মুল্যের তুলনা করুন।
এটা ঠিক যে, হিসেব বা যুক্তির বাইরেও শেয়ার প্রাইস ওঠা-নামা করে। তবে দীর্ঘমেয়াদে হিসেবি হয়ে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির সম্ভাবনা কম, বরং ন্যায্যলাভের সম্ভাবনাই বেশি
দেখলেন তো! শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নেয়াটা আসলে সহজ একটা বিষয়।

কোন মন্তব্য নেই: